আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জামালপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত।
জামালপুর জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত:-
জামালপুর জেলা যমুনা সার কারখানা, ঝিল বাংলা সুগার মিল, শাহ জামালের মাজার, দয়াময়ী মন্দির, কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এবং লাউচাপড়া পর্যটন কেন্দ্রের জন্য বিখ্যাত। কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে মূলত প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট ও সরিষা বীজ অন্যতম। মরিচ, চিনাবাদাম, এবং গম ও প্রচুর পরিমানে চাষ হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল এই জামালপুর।

যমুনা সার কারখানা:-
স্থান
সরিষাবাড়ি, জামালপুর।
কিভাবে যাওয়া যায়
সরিষাবাড়ী হতে এটির দুরত্ব ১২ কিঃমিঃ। জামালপুর থেকে সিএনজি করে কিংবা সরিষাবাড়ী থেকে ইজিবাইক বা সিএনজি করে এখানে যাওয়া যায়।
যোগাযোগ
রাত ১১-০০ টায় মহাখালী বাসস্ট্যান্ড হতে জামালপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে ভোর ৫-০০টার মধ্যে জামালপুর পৌঁছা যায় ।

বিস্তারিত
এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম সার কারখানা জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্হিত । জামালপুর শহর হতে দক্ষিণ দিকে আনুমানিক ৪০ কিলোমিটার দূরে প্রধান সড়কের পাশে এর অবস্হান। সকাল ৯-০০টায় জামালপুর শহর হতে রওয়ানা দিলে ১০-৩০ টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছা যাবে । ট্রেন বা সড়কপথে যাওয়া যায় । পূর্বানুমতি নিয়ে পর্যটকদের সার উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখার সুযোগ রয়েছে ।
সার কারখানার আধা কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে পোগলদিঘা ইউনিয়নে যমুনা গার্ডেন সিটি বিনোদন কেন্দ্র । এ বিনোদন কেন্দ্রে লোকের সমাগম সবসময় । ইচ্ছে হলে বিনোদন কেন্দ্রটি দেখে আসতে পারে । এছাড়া সরিষাবাড়ীতে কয়েকটি পুরান জুট মিল রয়েছে । আরো আছে সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট,জগন্নাথগঞ্জ ঘাট,যমুনা জেটি ঘাট । এগুলো দেখার পাশাপাশি সরিষাবাড়ীর বিখ্যাত প্যারা মিষ্টি কেনার সুযোগ রয়েছে ।
শাহ জামালের মাজার:-
শাহ জামালের মাজার (উর্দু: شاه جمال درگاه) হলো সুফি সাধক বাবা শাহ জামালের সমাধিসৌধ। এটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে অবস্থিত। লাহোরের মুসলিন টাউনের পাশে ফরম্যান ক্রিশ্চিয়ান (এফসি) কলেজের নিকটে এই মাজারটির অবস্থান। মাজারের পাশে একটি মসজিদও রয়েছে, যা একটি কবরস্থানের সাথে সংযুক্ত।
মাজারে ওঠার সিঁড়ির নিচে নিয়মিত ভক্তদের মজলিস বসে। প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন, যার রীতি কয়েক শত বছর ধরে চলে আসছে। উরসের সময় ঢোল বাজানো হয় এবং ভক্তরা (দরবেশ ও ফকির) এক ধরনের আবেশের মধ্যে থেকে নাচেন, যা ধামাল নৃত্য বলে পরিচিত। ঢোলবাদক পাপ্পু সাইন তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এখানে ঢোল বাজাতেন। তিনি এই মাজারকেন্দ্রিক উরসের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন।

দয়াময়ী মন্দির
শ্রী শ্রী রীঁ দয়াময়ী মন্দির বা দয়াময়ী মন্দির বাংলাদেশের জামালপুর জেলার পৌরসভার কেন্দ্রস্থলে ১৬৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির।
মোগল আমলে আনুমানিক ১৬৯৮ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার অন্তর্গত গৌরিপুর রামগোপালপুর জমিদারের জাফরশাহী পরগানার জায়গীরদার শ্রীকৃষ্ণ রায় চৌধুরী ছিলেন এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে মন্দিরটি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন তৎকালীন রাণী শ্রীমতি নারায়ণী রায় চৌধুরী।
আরও পড়ুনঃ