জামালপুর জেলার ভৌগলিক পরিচিতি

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় জামালপুর জেলার ভৌগলিক পরিচিতি।

 

জামালপুর জেলার ভৌগলিক পরিচিতি
গান্ধী আশ্রম – জামালপুর জেলা

 

জামালপুর জেলার ভৌগলিক পরিচিতি:-

সীমানা ও অবস্থান

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর মধ্যে জামালপুরের অবস্থান :  উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য(গারো পাহাড়), শেরপুর ও কুড়িগ্রাম জেলা; পূর্বে শেরপুর ও ময়মনসিংহ জেলা; দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা  এবং পশ্চিমে যমুনা নদীর তীরবর্তী  সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা । জামালপুর জেলার এবং ৭ টি উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান নিম্নে উল্লেখ করা হল:

নাম উত্তর অক্ষাংশ দ্রঘিমাংশ তীরবর্তী
জামালপুর ২৪ডি: ৩৪মি: ৮৯ডি: ৩৮মি:
জামালপুর সদর ২৪ডি: ৪২মি: ৮৯ডি: ৫২মি:
সরিষাবাড়ী ২৪ডি: ৩৪মি: ৮৯ডি: ৪৩ম
ইসলামপুর ২৪ডি: ৫৭মি: ৮৯ডি: ৩৮মি:
মেলান্দহ ২৪ডি: ৫১মি: ৮৯ডি: ৪২মি:
মাদারগঞ্জ ২৪ডি: ৪৭মি: ৮৯ডি: ৪০মি:
দেওয়ানগঞ্জ ২৫ডি: ০৬মি: ৮৯ডি: ৫১মি:
বকশীগঞ্জ ২৫ডি: ০৬মি: ৮৯ডি: ৪৭মি:
google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

আয়তনঃ

জামালপুর জেলার আয়তন ২০৩১.৯৮ বর্গ কিলমিটার/৭৮৪.৫৫ বর্গমাইল/২০৮৯০৬ হেক্টর। আবাদী জমির পরিমান ১৫৬৯৫২ হেক্টর। আবাদী জমির শতকরা প্রায় ২৫ ভাগ এলাকা চরাঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত। এ জেলার নদী ও জলাশয়ের পরিমান ১৫০.০১ বর্গ কিলোমিটার এবং বনাঞ্চল হচ্ছে ১৮.১৬ বর্গ কিলোমিটার।

জামালপুরের নারীদের তৈরি নকশিকাঁথা সম্ভাবনার নতুন দ্বার উম্মোচন করেছে। বর্তমানে নকশীকাঁথা তৈরি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে পরিণত হয়েছে। এখানে তৈরি নকশিকাঁথা এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে। নকশিকাঁথা তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এখানকার নারীরা। জানা যায়, আশির দশকে জামালপুরে ক্ষুদ্র আকারে কারুশিল্পের যাত্রা।

বর্তমানে এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন নতুন শিল্পোদ্যোক্তার আবির্ভাব ঘটেছে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য এ নকশিকাঁথা তৈরি করে নারীরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। জামালপুরের ও হস্তশিল্প নকশিকাঁথা এখন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় রপ্তানী হচ্ছে।

 

জামালপুর জেলার ভৌগলিক পরিচিতি
হযরত শাহ কামাল -এর মাজার – জামালপুর জেলা

 

জামালপুর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় দরিদ্র, মধ্যবিত্ত এমনকি শিক্ষিত নারীরাও পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন কারুশিল্পের কাজ। এর মাধ্যমে জামালপুর জেলায় সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় প্রায় পাঁচ শতাধিক নারী উদ্যোক্তা। তাদের মাধ্যমে শত শত নারী কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

জামালপুর শহরের আমলাপাড়া, বসাকপাড়া, কলেজ রোড, বকুলতলা, জিগাতলা, মুন্সিপাড়া, মিয়াপাড়া, দড়িপাড়া, বেলটিয়া, পাথালিয়া, পাঁচরাস্তা মোড়সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে হস্তশিল্পের আকর্ষণীয় শোরুম গড়ে উঠেছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা জামালপুরে কারুশিল্পের তৈরি বিভিন্ন ধরনের নকশিকাঁথা, বিছানার চাদর, সোফার কুশন, পাপোশ, ওয়ালম্যাট, ফতুয়া, নকশী করা রকমারি পাঞ্জাবি মহিলাদের হ্যান্ড ব্যাগসহ বিভিন্ন পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

কারুশিল্পের জন্য ঋণ সুবিধা অব্যাহত থাকলে মোটা অঙ্কের পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে জামালপুরে ঘরে বসে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় জেলার অনেক কর্মমুখী নারী তাদের ব্যবসার প্রসার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

নারী উদ্যোক্তা ছাইদা বেগম শ্যামা বলেন, ১৫ বছর ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছি। প্রথম দিকে ২০-৩০ মহিলা কর্মী নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও বর্তমানে তার কর্মীসংখ্যা প্রায় দুই শতাধিক। তিনি বলেন, ‘আমার তৈরি কারুশিল্পসামগ্রী এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সুইডেনের বাজারেও স্থান করে নিয়েছে। সুইডেন নাগরিক ক্রিস্টিনা আমার একজন বড় ক্রেতা। তার মাধ্যমেই আমি সেখানকার বাজার ধরতে সক্ষম হয়েছি। এভাবেই জামালপুরের কারুশিল্প দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment