বন্ধ জামালপুর বাস টার্মিনাল – জামালপুর পৌর বাস টার্মিনাল এখন শুধু নামেই রয়েছে। পনেরো বছর ধরে ব্যবহার না হাওয়ায় টার্মিনালের বিভিন্ন আসবাব ও দ্বিতল ভবন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এদিকে বাস মালিকের সড়কের পাশে তাঁরা জায়গা ভাড়া নিয়ে টার্মিনাল করেছেন। সেই টার্মিনাল থেকে বাস বের করার সময় শহরে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
বন্ধ জামালপুর বাস টার্মিনাল
সেখান থেকে জামালপুর-ময়মনসিংহ-ঢাকা সড়কে বাস চলাচল করে। জামালপুর পৌরসভা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মাঝারি শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৯ সালে জামালপুর পৌরসভার বাস টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু হয়। টার্মিনাল নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হিসেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জামালপুর পৌরসভা কাজটি করে। নির্মাণকাজে ৬১ লাখ ২৭ হাজার ১২৫ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ঠিকাদার সোরহাব হোসেন বাবুল নির্মাণকাজটি করেন। পরে ২০০১ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়। ২০০২ সালে টার্মিনালের আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হলে ২০০৯ সাল তা বন্ধ হয়ে যায়। টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাস টার্মিনাল হলেও যাত্রীর কোনো দেখা নেই।ভেতরে বাসের কাউন্টার ও গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। পৌরসভার টার্মিনালে পড়ে আছে কয়েকটি বাস ও দু-তিনটি ট্রাক। ভবনের প্রতিটি গেটে তালা ঝুলছে। ভেতরে ময়লা-আবর্জনা ও পানি জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া টার্মিনাল ভবনের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।এদিকে শহরের ভোকেশনাল স্কুলের পাশে জামালপুর-ময়মনসিংহ ব্যস্ততম মূল সড়কের পাশে ছোট একটি জায়গা ভাড়া নিয়েছেন মালিকরা। ওই জায়গায় থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাস বের করার সময় যানজট সৃষ্টি হয়।
বাস চালক ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৩ বছর আগে টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর রজনীগন্ধা, যমুনা ও মুক্তিসহ বেশ কয়েকটি কম্পানির বাস চলাচল করেছে। তারপর মালিক সমিতি ও রাজনৈতিক দলের নেতাদের স্বার্থের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সুন্দর এই টার্মিনাল রেখে ভাড়া জায়গা থেকে বাস যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করে পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, ‘টার্মিনাল সংস্কারের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। সংস্কার করে দিলে আমরা পুনরায় টার্মিনালে ফিরে যাব।’
জামালপুর পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘যানজট ও সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই শহরের অদূরে প্রধান সড়কের পাশেই টার্মিনাল করা হয়। ২০০৯ সালের দিকে বন্ধ হয়ে যায়। বাস মালিকদের অসহযোগিতার কারণে টার্মিনালটি আর চালু করা যায়নি। তবে খুব দ্রুত টার্মিনাল চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’